চট্রগ্রাম থেকে এ.কে আজাদঃ
চট্রগ্রামের পাহাড়তলী থানা এলাকায় আলোচিত মহিউদ্দিন হত্যাকান্ডের রহস্য এখনও উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্হা।
দীর্ঘ ৯ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর আজও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে নিহতের স্বজনরা। এ ব্যাপারে নিহতের মামা প্রবাসী দুলাল
চট্রগ্রাম প্রতিনিধি এ.কে আজাদকে জানান, আমার বড় বোনের ঘরের বড় ভাগিনা দুই ভাই এক বোনের বড় ভাই মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে গত
১৫/০৫/২০২৪ ইং মঙ্গলবার রাত আটটার সময় কে বা কাহারা যেন তার মুঠোফোনে ফোন করে, ফোন করার সাথে সাথে আমার এই ভাগিনা ঘর থেকে বাহিরে
যায় কিন্তু বিধিবাম আর ঘরে ফেরত আসেনি। আমাদের যত আত্মীয়-স্বজনও শুভাকাঙ্খিরা সকল যায়গায় খোজাখুজি করে না পেয়ে তখন আইনের
শরণাপন্ন হয়েও আমরা আইনের সহায়তা নেই।
পরিবারের সদস্যরা শেষ অবদি আশাবাদি ছিল যে তাদের ভাগিনা মহিউদ্দিনকে জীবিত পাওয়া যাবে, কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস পাওয়া গেলো
বিভৎস অবস্থায় বস্ত্র বিহীন লাশ। মহিউদ্দিনকে গত ১৭/০৫/২০২৪ ইং তারিখ চট্টগ্রাম হালিশহর গাবতলী নদীর পাড়ে একটি বাগানের সাইটে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,পরিবারের স্বজন সহ এলাকার সাধারণ জনগন মহিউদ্দিনের খুনের বিচার চাইছে এবং খুনিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক
স্বাস্থির জোড় দাবি জানায়। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিহতের পরিবার বলেন, মহিউদ্দিন খুনের ৯ মাস অতিবাহিত কিন্তু খুনিরা এখনও ধরাছোঁয়ার
বাহিরে রয়েছে। পরিবারের দাবি তাদের পেশি শক্তি ও টাকার প্রভাবে আইনকে নিজ হাতের পুতুল বানিয়ে রেখেছে।
নিহতের ছোট ভাই আকতার হোসেন প্রকাশ সালাহউদ্দিন জানান,তার বড় ভাই মহিউদ্দিন পাইব ফিডারের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। দক্ষিণ
কাট্রালি ৭৮৭/৭২৭ কলেজ রোডে সেমি পাকা ঘরে মা-বাবা,ভাই-বোন মিলে দীর্ঘদিন ভাড়া বাসায় জীবন যাপন করতেন। অত্র এলাকায় তাদের সঙ্গে কারও
কোন শত্রুতা নেই। হত্যার আগে তার মুঠোফোনে একটা ফোন আসে আর সে বাসা থেকে বের হয়ে যায় আর বাসায় ফিরেনি।
সালাউদ্দিন বলেন,তার ভাই নিখোঁজ হওয়ার পর পাহাড়তলী থানায় একটি ডায়েরী করেন যাহার নং-৯৩২,তাং-১৫/০৫/২০২৪ ইং। উক্ত সাধারণ ডায়েরী করার
পর উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ এবং পথচারী ও এলাকাবাসীর সহযোগীতায় মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর ও লাশ ময়নাতদন্তে পাঠায়।
এরপর ১৮/০৫/২০২৪ ইং তারিখে অজ্ঞাতনামা দিয়ে পাহাড়তলী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক সন্দেহভাজন ২ জনকে আটক
করলেও অশুভ শক্তি প্রয়োগ করে তারা ছাড়া পেয়ে যায়।
নিহতের পিতা আব্দুল খালেক জানান,আমার নীরিহ দীনমজুর ছেলেকে হারিয়ে আজ আমরা বড় অসহায়। আমার মতো কোন বাবাকে যেন এভাবে হারাতে না হয়।
আপনার ছেলেকে কে বা কাহারা হত্যা করতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আমার এলাকার রবিন সহ সন্দেহভাজন বেশ কয়েক জনের নাম
পুলিশকে জানিয়েছি কিন্তু তারা টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়ায় আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত।
এলাকার সচেতন মহল জানিয়েছেন, নিহত মহিউদ্দিন এলাকায় খুবই জনপ্রিয় ছিলো। আমরা তার খুনীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি
করছি।
এদিকে নিহতের মা তার ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায়। তার ছেলেকে যারা বিভৎস্য ভাবে হত্যা করেছে,তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি
নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছেন।