
জয়পুরহাটের কালাইয়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। শুধু তাই নয় দামেও খুশি এ উপজেলার কৃষক। এবছর ২০২৪-২০২৫ মৌসুমে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে।
কয়েকজন কৃষকরা বলছেন, অন্য ফসল আবাদের চেয়ে তুলনামূলক গম আবাদে খরচ অনেক কম। বীজ, সার, সেচ, কীটনাশক ইত্যাদি থেকে শুরু করে কাটা-মাড়াইয়ে খরচ কম হওয়ায় এ ফসল আবাদ লাভজনক ।
কালাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। বারি ৩০, ৩১, ৩৩, ২৫ ও ২৬ জাতের গম চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া আর সঠিক যত্নে এবার গমের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলার গ্রামীণ মাঠগুলোতে আলু রোপণের পাশাপাশি গত বছরের চাইতে এবার অনেক বেশি গম চাষ হয়েছে।
কালাই পৌরসভার বাসিন্দা আঁড়ড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, গমের ফলন ও দাম ভাল পাই বলেই আমি আলুর পরিবর্তে এ বছর ১বিঘা জমিতে গম চাষ করি। গম চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৮ হাজার টাকা। এবার আমার ১বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে ১২ মন। ইতিমধ্যে মণ প্রতি দুই হাজার টাকা দরে বিক্রি করি। এতে আমি মোটামুটি লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছি।
এ উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের তালোড়া বাইগুনী গ্রামের কৃষক আতিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর ৪০শতক জমিতে গমের চাষ করেছি, ফলনও ভালো হয়েছে। বর্তমানে বাজার দরও ভালো। অন্য ফসলের তুলনায় গম চাষ করে লাভবান হয়েছি।
কালাই উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা অরুন চন্দ্র রায় বলেন,এ বছরে ১৫০ জন কৃষককে গম চাষের জন্য প্রণোদনা দেওয়া হয়। এতে ঐ কৃষকদের ২০ কেজি করে গমের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে । গম আবাদে আলু চাষের তুলনায় খরচ অনেক কম হওয়ায় চাষীরা এ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আগামীতে গম চাষ বৃদ্ধির লক্ষে প্রণোদনা, প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।