জয়পুরহাটে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ দিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর স্বামীও বৈদ্যুতিক শকে আত্নহত্যার চেষ্টা করেছেন। পুলিশ তাকে অসুস্থ অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের বড়তাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত গৃহবধূর নাম রোকেয়া বেগম (৪৫)। তিনি ওই গ্রামের জহির উদ্দিনের স্ত্রী। জহির উদ্দিন আগে ঢাকায় রিকশা চালাতেন। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের বাড়িতেই অবস্থান করছেন। তিনি নেশায় আসক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ ও গ্রাসবাসী সূত্রে জানা গেছে, রোকেয়া বেগম ও জহির উদ্দিন দম্পতির এক ছেলে ঢাকায় রিকশা চালায়। ছেলের বউ বিদেশে থাকে। ওই দম্পতি তার দুই নাতিকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন। দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়তেন। জহির উদ্দিন প্রায় দিনই তার স্ত্রীকে মারধর করতেন। শুক্রবার রাতেও তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে রোকেয়া বেগম নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরের দিকে জহির উদ্দিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার স্ত্রীর মাথায় পেছন দিক দিয়ে কোপ দেন। এতে তার স্ত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এরপর জহির উদ্দিন বৈদ্যুতিক শক দিয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করেন। তিনি অসুস্থ হয়ে টয়লেটে পড়েছিলেন। সকালে তাদের দুই নাতি প্রতিবেশীদের জানালে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। একই সঙ্গে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। পুলিশ জহির উদ্দিনকে অসুস্থ অবস্থায় গ্রেপ্তার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বর্তমানে তিনি পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জয়পুরহাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নাজমুল কাদের বলেন, নিহত গৃহবধূর মাথার পেছনে বাম পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়েছে। এতে কানের কিছু অংশ কেটে গেছে। নিহতের লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন